Sunday, 3 December 2017






















চন্দ্র পঞ্জিকা অনুযায়ী একটি বছরের ১২ মাস ৩৫৫ দিনের মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত হয়। আমাদের সৌর পঞ্জিকা অনুযায়ী সেটি হয় ৩৬৫ দিনে। ৩৬৫ থেকে ৩৫৫, ১০ দিনের পার্থক্য। সুতরাং প্রতি তিন বছরে একটি অতিরিক্ত মাস যুক্ত হয় যার নাম পুরুষোত্তম মাস।













 












শ্রীশ্রীদামোদরাষ্টকম্
 (শ্রীমৎ সত্যব্রত মুনি)

13

নমামীশ্বরং সচ্চিদানন্দরূপং লসৎ-কুণ্ডলং গোকুলে ভ্রাজমানম্।
  যশোদাভিয়োলূখলাব্ধাবমানং পরামৃষ্টমত্যং ততো দ্রুত্য গোপ্যা ॥ ১ ॥
অনুবাদ-  যিনি সচ্চিদানন্দ-স্বরূপ, যাঁর কর্ণযুগলে কুণ্ডল আন্দোলিত হচ্ছে, যিনি গোকুলে পরম শোভা বিকাশ করছেন এবং যিনি শিক্য অর্থাৎ শিকায় রাখা নবনীত (মাখন) অপহরণ করায় মা যশোদার ভয়ে উদূখলের উপর থেকে লম্ফ প্রদান করে অতিশয় বেগে ধাবমান হয়েছিলেন এবং মা যশোদাও যাঁর পশ্চাতে ধাবিত হয়ে পৃষ্ঠদেশ ধরে ফেলেছিলেন, সেই পরমেশ্বর শ্রীদামোদরকে প্রণাম করি।
রুদন্তং মুহুর্নেত্রযুগ্মং মৃজন্তং করাম্ভোজযুগ্মেন সাতঙ্কনেত্রম্।  
মুহুঃশ্বাসকম্প ত্রিরেখাঙ্ককণ্ঠ- স্থিত-গ্রৈব-দামোদরং ভক্তিবদ্ধম্ ॥ ২ ॥
অনুবাদ- যিনি জননীর হস্তে যষ্ঠি দেখে রোদন করতে করতে দু’খানি পদ্মহস্ত দ্বারা বারবার নেত্রদ্বয় মার্জন করছেন, যিনি ভীতনয়ন হয়েছেন ও সেইজন্য মুহূর্মুহুঃ শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত কম্প-নিবন্ধন যাঁর কণ্ঠস্থ মুক্তাহার দোদুল্যমান হচ্ছে এবং যাঁর উদরে রজ্জুর বন্ধন রয়েছে, সেই ভক্তিবদ্ধ শ্রীদামোদরকে বন্দনা করি।
ইতিদৃক্ স্বলীলাভিরানন্দকুণ্ডে স্বঘোষং নিমজ্জন্তমাখ্যাপয়ন্তম্।
তদীয়েশিতজ্ঞেষু ভক্তৈর্জিতত্ত্বং পুনঃ প্রেমতস্তং শতাবৃত্তি বন্দে ॥ ৩ ॥
অনুবাদ- যিনি এইরকম বাল্যলীলা দ্বারা সমস্ত গোকুলবাসীকে আনন্দ-সরোবরে নিমজ্জিত করেন এবং যিনি ভগবদৈশ্বর্য-জ্ঞান-পরায়ণ ভক্তসমূহে ‘আমি ভক্ত কর্তৃক পরাজিত অর্থাৎ ভক্তের বশীভূত- এই তত্ত্ব প্রকাশ করেন, সেই ঈশ্বররূপী দামোদরকে আমি প্রেম-সহকারে শত শতবার বন্দনা করি।
বরং দেব! মোক্ষং ন মোক্ষাবধিং বা ন চান্যং বৃণেহহং বরেশাদপীহ।
ইদন্তে বপুর্নাথ!  গোপালবালং সদা মে মনস্যাবিরাস্তাং কিমন্যৈঃ ॥ ৪ ॥
অনুবাদ- হে দেব! তুমি সবরকম বরদানে সমর্থ হলেও আমি তোমার কাছে মোক্ষ বা মোক্ষের পরাকাষ্ঠাস্বরূপ শ্রীবৈকুণ্ঠলোক বা অন্য কোন বরণীয় বস্তু প্রার্থনা করি না, তবে আমি কেবল এই প্রার্থনা করি যে, এই বৃন্দাবনস্থ তোমার ঐ পূর্ববর্ণিত বালগোপালরূপ শ্রীবিগ্রহ আমার মানসপটে সর্বদা আবির্ভূত হোক। হে প্রভো! যদিও তুমি অন্তর্যামীরূপে সর্বদা হৃদয়ে অবস্থান করছ, তবুও তোমার ঐ শৈশব লীলাময় বালগোপাল মূর্তি সর্বদা সুন্দর-রূপে আমার হৃদয়ে প্রকটিত হোক।
ইদন্তে মুখাম্ভোজমব্যক্তনীলৈ- র্বৃতং কুন্তলৈঃ স্নিগ্ধ-রক্তৈশ্চ গোপ্যা।
মুহুশ্চুম্বিতং বিম্ব-রক্তাধরং মে মনস্যাবিরাস্তামলং লক্ষলাভৈঃ ॥ ৫ ॥
অনুবাদ- হে দেব! তোমার যে বদন-কমল অতীব শ্যামল, স্নিগ্ধ ও রক্তবর্ণ কেশসমূহে সমাবৃত এবং তোমার  যে বদনকমলস্থ বিম্বফলসদৃশ রক্তবর্ণ অধর মা যশোদা বারবার চুম্বন করছেন, সেই বদনকমলের মধুরিমা আমি আর কি বর্ণন করব? আমার মনোমধ্যে সেই বদনকমল আবির্ভূত হোক। ঐশ্বর্যাদি অন্যবিধ লক্ষ লক্ষ লাভেও আমার কোনও প্রয়োজন নেই- আমি অন্য আর কিছুই চাই না।
নমো দেব দামোদরানন্তবিষ্ণো প্রসীদ প্রভো দুঃখজালাব্ধিমগ্নম্।
কৃপাদৃষ্টি-বৃষ্ট্যাতিদীনং বতানু- গৃহাণেশ মামজ্ঞমেধ্যক্ষি দৃশ্যঃ ॥ ৬ ॥
অনুবাদ- হে দেব! হে দামোদর! হে অনন্ত! হে বিষ্ণো! আমার প্রতি প্রসন্ন হও। হে প্রভো! হে ঈশ্বর! আমি দুঃখপরম্পরারূপ সমুদ্রে নিমগ্ন হয়ে একেবারে মরণাপন্ন হয়েছি, তুমি কৃপাদৃষ্টিরূপ অমৃত দ্বারা আমার প্রাণ রক্ষা কর।
কুবেরাত্মজৌ বদ্ধমূর্ত্যবৈ যদ্বৎ ত্বয়া মোচিতৌ ভক্তিভাজৌ কৃতৌ চ।
তথা প্রেমভক্তিং স্বকাং মে প্রযচ্ছ ন মোক্ষে গ্রহোমেহস্তি দামোদরেহ ॥ ৭ ॥
অনুবাদ- হে দামোদর! তুমি যেরকম গো অর্থাৎ গাভী-বন্ধন-রজ্জুদ্বারা উদূখলে বদ্ধ হয়ে শাপগ্রস্ত নলকুবের ও মণিগ্রীব নামক কুবেরপুত্রদ্বয়কে মুক্ত করতঃ তাদের ভক্তিমান্ করেছ, আমাকেও সেইরকম প্রেমভক্তি প্রদান কর। এই প্রেমভক্তিতেই আমার আগ্রহ, মোক্ষের প্রতি আমার আগ্রহ নেই।

নমস্তেহস্তু দাম্নে স্ফুরদ্দীপ্তি-ধাম্নে ত্বদীয়োদরায়াথ বিশ্বস্য ধাম্নে।
নমো রাধিকায়ৈ ত্বদীয়-প্রিয়ায়ৈ নমোহনন্তলীলায় দেবায় তুভ্যম্ ॥ ৮ ॥
অনুবাদ- হে দেব! তোমার তেজোময় উদরবন্ধন-রজ্জুতে এবং বিশ্বের আধার-স্বরূপ তোমার উদরে আমার প্রণাম থাকুক। তোমার প্রিয়তমা শ্রীরাধিকাকে আমি প্রণাম করি এবং অনন্তলীলাময় দেব তোমাকে নমস্কার করি।
























* * *

     আব্রহ্মভুবনাল্লোকাঃ পুনরাবর্তিনোহর্জুন ।                   অনুবাদ:- হে অর্জুন ! এই ভুবন থেকে ব্রহ্মলোক পর্যন্ত সমস্ত লোকই পুনরাবর্তনশীল অর্থাৎ পুনর্জন্ম হয় ৷
     মামুপেত্য তু কৌন্তেয় পুনর্জন্ম ন বিদ্যতে ॥১৬॥                       কিন্তু হে কৌন্তেয় ! আমাকে প্রাপ্ত হলে আর পুনর্জন্ম হয় না।    গীতা:৮ম অধ্যায়/শ্লোক:॥১৬॥ 
 

স্বর্গঃ থেকেও উচ্চতর বিভিন্ন গ্রহলোক

   কর্ম এবং সাধনা অনুযায়ী বিভিন্ন উচ্চতর গ্রহলোকে যাওয়া যায়। তবে পূণ্যফল শেষ হলে পুনঃরায় কর্ম এবং বাসনা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রাণীকুলে জন্মগ্রহণ করতে হবে।

স্বর্গলোকঃ

     যেকোন প্রকার পূণ্যফলের বিনিময়ে স্বর্গসুখ ভোগকরা যায়। তবে পূণ্যফল শেষ হলে পুনঃরায় কর্ম এবং বাসনা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রাণীকুলে জন্মগ্রহণ করতে হবে।
*

মনুষ্য লোকঃ / ভূলোক / পৃথিবী / পরীক্ষাগার / মায়ার কারাগার স্বরূপ:

জীবসমূহ ভগবানের মায়া ত্রিগুণের দ্বারা মোহিত। শুধুমাত্র যাঁরা তাঁর শ্রীচরণে প্রপত্তি করে, তাঁরাই গুণাতীত স্তরে অধিষ্ঠিত হয়ে কর্ম করতে পারে এবং তাঁদের চেতনার পূর্ণ বিকাশ সাধনের মাধ্যমে ভগবদ ধামে ফিরে যেতে প্রচেষ্টা করে। *


বস্তুতঃ কারো সৌভাগ্য নির্ভর করে শুধুমাত্র তাঁর পূর্ব পূর্ব জন্মের পূণ্যকর্মের সঞ্চিত ফলের সাথে বর্তমানের সৎকর্ম, সৎসঙ্গ বা সাধুসঙ্গের প্রভাবের মাত্রার উপর ! অনুরূপভাবে দুর্ভাগ্যও নির্ভর করে এগুলোর ঠিক বিপরীত প্রভাবে ! !   দুর্লভ মানব জনম- সুবর্ণ সুযোগ ;  - হতে পারে এটাই শেষ সুযোগ ! ! !

  জলজা নবলক্ষাণি স্থাবরা লক্ষবিংশতি। ক্রিময়ো রুদ্রসংখ্যকাঃ পক্ষিণাং দশলক্ষণম্। ত্রিংশল্লক্ষাণি পশবঃ চতুর্লক্ষাণি মানুষাঃ।। (পদ্ম পুরাণ) অর্থাৎঃ- নয় লক্ষ জনম জলজ প্রাণীরূপে,    স্থাবর-জঙ্গম অর্থাৎ বৃক্ষ-লতারূপে কুড়ি লক্ষ জনম, ত্রিশ লক্ষ জনম পশু রূপে এবং মানব রূপে চার লক্ষ জনম এভাবে ৮৪ লক্ষ যোনি ভ্রমণ করতে হয় জীবের। 
Last chance for human lifeLast chance for human lifeLast chance for human lifeLast chance for human lifeLast chance for human lifeLast chance for human lifeLast chance for human life   মাত্র চার লক্ষবার মানব জন্মের সুযোগ আছে ! কে জানে ইতোমধ্যে কার কত জন্ম পার হয়ে গেছে ! চেতনার পরিপূর্ণ বিকাশের মাধ্যমে যদি ভগবানের ধামে ফিরে যাওয়ার পূর্ণ যোগ্যতা     অর্জিত না হয়, তবে পুনরায় আশি লক্ষ বিভিন্ন যোনি ভ্রমণ করতে হবে মানব শরীর লাভ করার জন্য এবং পুনরায় পরীক্ষা দেওয়ার জন্য !!!
before human lifebefore human lifebefore human lifebefore human lifebefore human lifebefore human lifebefore human life

পশু রূপে ৩০ লক্ষ জনম ভ্রমণ করতে হয় জীবের । (পদ্ম পুরাণ)

before human lifebefore human lifebefore human lifebefore human lifebefore human lifebefore human lifebefore human life

পক্ষী রূপে ১০ লক্ষ জনম ভ্রমণ করতে হয় জীবের । (পদ্ম পুরাণ)

before human lifebefore human lifebefore human lifebefore human lifebefore human lifebefore human lifebefore human life

স্থাবর জঙ্গম-আদি রূপে ২০ লক্ষ জনম ভ্রমণ করতে হয় জীবের । (পদ্ম পুরাণ)

before human lifebefore human lifebefore human lifebefore human lifebefore human lifebefore human lifebefore human life

জলজ প্রাণী রূপে ৯ লক্ষ জনম ভ্রমণ করতে হয় জীবের । (পদ্ম পুরাণ)

before human lifebefore human lifebefore human lifebefore human lifebefore human lifebefore human lifebefore human life

কৃমি-কীট, সরিসৃপ রূপে ১১ লক্ষ জনম ভ্রমণ করতে হয় জীবের । (পদ্ম পুরাণ)


বিভিন্ন নিম্ন থেকে নিম্নতর নরক

  শুধুমাত্র মানবের কর্ম অনুযায়ী বিভিন্ন নিম্ন থেকে নিম্নতর নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। কর্মফল ভোগ শেষ হলে পুনঃরায় কর্ম এবং বাসনা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রাণীকুলে জন্ম হয়।
কেউ কেউ মনে করেন এই পৃথিবীর মাঝেই স্বর্গ এবং নরক।

ভগবানের নাম জপ করতে করতে নারদ মুনি একদিন গঙ্গায় স্নান করার জন্য বনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন এই সময় তিনি এক বীভত্স দৃশ্য দেখতে পেলেন
নারদ মুনি - কে ভগবানের সৃষ্টির এই অবস্থা করলো? নিশ্চয়ই কোন দুর্বুদ্ধি বোকা এই ভয়ানক পাপ কর্ম করেছে! কিছু আত্মা প্রাণীদের উপর এমন অত্যাচারের মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যতকে অন্ধকারময় তৈরী করছে! ---- নারদ মুনি কৃষ্ণ কর্তৃক প্রদত্ত তাঁর দিব্য বীণাতে টঙ্কার দিলেন আর তাতে সমস্ত পশুরা সেই স্থান পরিত্যাগ করলো।
শিকারী - এটি কিসের শব্দ? এটি কি ঘটছে? আমার সমস্ত পশুরাই এই স্থান থেকে চলে গেল।
নারদ মুনি - শিকারী, আমি তোমার কাছেই এসেছিলাম।
শিকারী - তুমি কে? আমি তো তোমার মত কাউকে চিনি না, তুমি আমার কাছে কি চাও?
নারদ মুনি - আমি নারদ, আমি তোমার কাছে এসেছিলাম যদি তুমি আমাকে আমার পথ চিনতে সাহায্য কর।
শিকারী - আমি একজন শিকারী আর তুমি কিনা আমার সমস্ত বন্দী পশুকে তাড়িয়ে দিলে, তুমি কেন এমন করলে?
নারদ মুনি - আমি যখন এই পথ দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন দেখলাম যে এই সমস্ত পশু যন্ত্রণায় চিত্কার করছে। এই হীন, পাপ কার্য কে করেছে? শিকারী - পাপ কাজ! তুমি এসব কি বলছ?. আমিই তো এসব করেছি, এ সব কিছুই সঠিক আছে।
নারদ মুনি - তুমি এই দুর্বল খরগোশটিকে অর্ধমৃত কর রেখেছ আর বলছ এসবই সঠিক?
শিকারী - প্রভু, এতে পার্থক্য কোথায়, আমার পিতাই এই শিক্ষা প্রদান করেছেন, আর যখন আমি কোন খরগোশকে মৃত্যু যন্ত্রণায় কষ্ট পেতে দেখি, তা আমাকে আরো বেশি আনন্দ দান করে।
নারদ মুনি - শিকারী আমি তোমার কাছে শুধু একটি জিনিসই চাই, বল তুমি আমাকে তা দান করবে।
শিকারী - আপনি কি কোন কিছু পুষতে চান? আপনি আমার বাড়িতে চলুন আমি আপনাকে হরিণ, বাঘ, যা চান না কেন তাই দিয়ে দিব।
নারদ মুনি - আমার এইসব কিছুই চাই না। আমি শুধু চাই যে, তুমি পশুদেরকে এভাবে অর্ধমৃত অবস্থায় ফেলে রেখ না। তোমায় কষ্ট ভোগ করতে
শিকারী - কিন্তু, আমি এই কষ্ট ভোগ করতে পারবনা।
নারদ মুনি - কিন্তু এটাই ঘটবে। তোমাকে প্রত্যেক পাপ কর্মের জন্য তার ফল ভোগ করতেই হবে।
শিকারী - হে প্রভু, আমি তাহলে কিভাবে এই পাপময় কর্ম থেকে মুক্তি পেতে পারি? আমি আপনার কাছে এই মিনতি নিবেদন করছি, দয়া করে আমাকে এই অবস্থায় বিপদ থেকে রক্ষা করুন। আমাকে পথ প্রদর্শণ করান।
নারদ মুনি - আমি তোমাকে প্রকৃত পথ দেখাতে পারি, কিন্তু তোমাকে তা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
শিকারী - অবশ্যই প্রভু, আমি তা থেকে বিরত হবো না।
নারদ মুনি- তাহলে প্রথমেই তুমি তোমার ধনুক ভেঙ্গে ফেল।
----- শিকারী তার ধনুক ভেঙ্গে ফেলে সেই শিকারীটি এবার নারদ মুনির নির্দেশনা শুনতে লাগল। সে তার সমস্ত বল, সম্পদ-সমৃদ্ধি ফেলে মাত্র একটি বসন পরে নারদের কাছে আসল।
শিকারী - আমার অতীত ছিল রাতের ভয়ংকর স্বপ্নের মত এবং এখন আমি জাগ্রত হতে চাই। কিন্তু কিভাবে এই বদ স্বভাবগুলো থেকে মক্তি পেতে পারি।
নারদ মুনি - হে শিকারী তুমি কি জান না কৃষ্ণ কত দয়াময়। তিনিই তোমাকে সকল রকম ব্যবস্থা করে দিবেন। তুমি শুধু তাঁর চরণে আত্মসমর্পণ কর। শিকারী ও তার স্ত্রী নদীর তীরে একটি ছোট্ট কুটির তৈরী করল।
শিকারী- তুমি আমাকে আমার আধ্যাত্মিক গুরুর নির্দেশনা পালনে সাহায্য কর। তুমি আমার সাথে যোগদান কর আর আমার গুরুদেব যে পারমার্থিক সেবা প্রদান করেছেন তাতে অংশগ্রহণ কর।
শিকারী এবার হরেকৃষ্ণমহামন্ত্র নাম জপ করতে শুরু করল এবং তারা অন্যের দয়া নিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করত। তারা প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছুই গ্রহণ করত না।
তিনি তার বাড়িতে পরম পবিত্র তুলসী মহারাণীকে প্রতিদিন জলদান করতেন। এসব দেখে পাশের বাড়ির লোকেরা বলাবলি করতে লাগল -- আমাদের বাড়ির জানালা থেকে আমরা প্রায়ই দেখি যে তোমার স্বামী ভগবদ্ ভজনা করছে, আর দেখ এমন তাঁর মুখমন্ডল কেমন জ্যোতির্ময় এবং উত্ফুল্ল দেখাচ্ছে।
শিকারীর স্ত্রী - এটি সার্বিকভাবে নারদ মুনির কৃপা, ঐ তুলসী গাছটি দেখ। আমার স্বামী নারদ মুনির কাছ থেকে শুনেছে যে, শুধুমাত্র তুলসী গাছে জল সেচনের দ্বারা নিজেদের পবিত্র করে তুলতে পারা যায়। কারণ তুলসী মহারাণী ভগবানের পরমা প্রিয়া, দেখ দেখ, শিকারী এখন ভক্তে পরিণত হয়ে গেছে। গ্রামবাসী প্রত্যহ তার জন্য কিছু না কিছু খাবার নিয়ে আসত।
ভক্তবৃন্দ - সে সকল কিছুই বুঝতে পারছে, আমি বলছিলাম না আমরা খুবই ভাগ্যবান কারন আমরা এখন এমন একজনের সাক্ষাদ্ পেয়েছি যিনি নারদ মুনির শিষ্য।
----- আর এরপর থেকে দশ থেকে বিশ জন প্রত্যেক দিন সেই শিকারীর সাথে প্রসাদ গ্রহণ করত।
ভক্তবৃন্দ - সবই তোমার কৃপা, আমরা তোমাকে আর কখনো পশুদের শত্রু বলব না। আমরা তোমাকে একজন সাধু বলে ডাকতে পারি। আর তোমার জন্য কিছু ফল নিয়ে এসেছিলাম।
শিকারী - দয়া করে আমাকে নারদ মুনির শিষ্য বলে ডাকলেই চলবে। আমি এর বেশি কিছুই নই।
---- একদিন নারদ মুনি এবং তার বন্ধু পর্বত মুনি সেই বনের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন।
নারদ মুনি - পর্বত মুনি আমার এক শিষ্য এরই পাশে কোথাও বাস করে তো দেখি এখন সে কি করছে?
পর্বত মুনি- আমি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভক্তদের খবুই ভালবাসি এবং তাদের দর্শনে আনন্দ উপভোগ করি, নারদ দয়া করে আমাকে সেখানে নিয়ে যাও। তাড়াতাড়ি নিয়ে যাও। ঐ যে সেই শিকারী, দেখ দেখ।
শিকারী নারদ মুনিকে দেখে বললেন, “ঐ যে দেখ, আমার শ্রদ্ধেয় পরমারাধ্য শ্রী গুরুদেব আসছেন।যখন শিকারী মাঠ পার হতে যাচ্ছিল সে দেখলো তার পায়ের ঠিক নিচে কিছু পিঁপড়া। সে বলল হে আমার প্রিয় বন্ধুরা তোমরা ভয় পেয় না, আমি তোমাদের কোন ক্ষতি করব না। এই দৃশ্য দেখে নারদ মুনি বললেন তুমি সত্যই বলিহারি শিকারী, তুমিই প্রকৃত ভক্ত। এটিই কাম্য যে, কোন কৃষ্ণ ভক্ত কোন ভাবেই জীবকে কষ্ট দিতে চায় না, এমনকি একটি পিঁপড়াকেও না। শিকারী নারদ মুনির চরণে দন্ডবত হয়ে বললেন, “গুরুদেব আমার পিঁপড়া ব্যাথা পেত তাই কৃপা পূর্বক সেই পিঁপড়াগুলোকে সরে যেতে দিন।
নারদ মুনি - সকল কিছু কি ঠিক মত চলছে?
শিষ্য - হ্যাঁ গুরুদেব। দেখুন তুলসী মহারাণী কিভবে বর্ধিত হচ্ছে।
মহামুনি নারদ আপনি দয়া করে আমাদের সাথে প্রসাদ গ্রহণ করুন।
পর্বত মুনি - আমি দেখছি যে তুমি এখানে ভাল আছো এবং তোমার ভক্তি জীবন খুব ভালোভাবে চলছে এবং তোমার এমন হৃদ্যতায় আমি খুব খুশি হয়েছি।
শিষ্য - মহতী আপনি জানেন যে আমরা মহানাম থেকে সকল সময়ই কৃপা পেয়ে থাকি আর এই মহামন্ত্র নারদ মুনিই আমাকে দান করেছেন। আপনি জানেন যে এই মহামন্ত্র খুবই সুমধুর আর তাই আমরা সকল সময়ই এই মহামন্ত্র জপ করতে থাকি।
---- পূর্বের শিকারী এবং তার স্ত্রী হরিনামের উল্লাসে মাতোয়ারা হয়ে পড়ল। তারা তাদের এই অনুভূতিকে কৃষ্ণনামের মাধ্যমে উপভোগ করতে লাগল।
নারদ মুনি - সকল প্রশংসাই সমস্ত গৌরভক্তবৃন্দের। সকল প্রশংসাই ভগবান রাধাকৃষ্ণের।
পর্বত মুনি - নারদ মুনি সত্যিই তুমি একটি পরশ পাথর। তোমার স্পর্শেই আজ এই ঘৃণ্য শিকারী মানব জীবনের পরম প্রাপ্তি কৃষ্ণ প্রেম লাভ করেছে।
নারদ মুনি - তুমি কি ঠিক মত প্রসাদ পাচ্ছ প্রিয় শিষ্য?
শিষ্য - হ্যাঁ, গুরুদেব, আমি প্রত্যহ বিশজন ভক্তকে নিয়ে একত্রে প্রসাদ পাচ্ছি।
পর্বত মুনি - ঠিক আছে, এখন তুমি এবং তোমার স্ত্রী ভালভাবে কৃষ্ণ ভক্তি যাজন করো, কৃষ্ণ তোমাদের মঙ্গল এবং সুখী করুন।
শিকারী - মহত সাধুরা সকল সময় কৃষ্ণের কথাই বলেন। যিনি পরম ঈশ্বর ভগবান এবং দেবদেবীরাও তাঁকে জানেন, যিনি সমস্ত কিছুর পরম নিয়ন্তা। কিন্তু আমি এতই অধম যে, আমি কৃষ্ণকে জানতেও পারলাম না, ,আমি শুধুমাত্র আমার আধ্যাত্মিক গুরুর সেবা পূজা করতে পারি, যিনি আমাকে তাঁর পরম কৃপায় এই অজ্ঞতার অন্ধকারকে দূর করে, আমাকে দিব্য চক্ষুদান করেছেন।
কীর্তন - ভগবানের পবিত্র নামের গুণে শিকারীর বাড়ির আঙ্গিনা মধুর পরিবেশের সৃষ্টি, ঠিক যেন শুষ্ক মরুভূমিতে বসন্তের এক পশলা বৃষ্টি। সবাই 'হরিবোল হরিবোল' বলে চিত্কার করে উঠল



শুধুমাত্র তুলসী পাতার ব্যবহার করে সমাধান করুন ৬ রকমের শারীরিক সমস্যা

সেই প্রাচীনকাল হতেই নানা শারীরিক সমস্যা সমাধানে ব্যবহার হয়ে আসছে তুলসী পাতা। তুলসী পাতার ঔষধি গুণের কারণে এটি বহুকাল ধরেই সমাদৃত ঘরোয়া চিকিত্সায়। ছোটোখাটো নানা শারীরিক সমস্যা থেকে শুরু করে মারাত্মক দৈহিক সমস্যাও দূর করতে কার্যকরী এই তুলসী পাতা। আজ জেনে নিন শুধুমাত্র তুলসী পাতার ব্যবহারে নানা শারীরিক সমস্যা সমাধানের দারুণ উপায়গুলো।
১) গলাব্যথা ও সর্দি কাশি দূর করে
ঋতু পরিবর্তনের সময় ঠাণ্ডা লেগে সর্দি কাশি হয়ে যায় এবং গলা ব্যথার সমস্যাও দেখা দেয়। এই সমস্যা দূর করবে শুধুমাত্র তুলসীপাতা। নিয়মিত তুলসী পাতার রস পান করলে ও তুলসী পাতা ফোটানো পানি দিয়ে গার্গল করলে দ্রুত সমস্যার সমাধান পাবেন।

২) মাথাব্যথা উপশম করে
অনেক সময় মানসিক চাপমাইগ্রেন বা অন্যান্য অনেক কারণেই মাথাব্যথা শুরু হয়ে যায়। মাথাব্যথা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে শুকনো তুলসী পাতা পানিতে ফুটিয়ে এই পানির ভাপ নিন। খুব ভালো ফলাফল পাবেন।

৩) দাঁতের সমস্যা দূর করে
দাঁতের জীবাণু দূর করতে তুলসী পাতার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানের জুড়ি নেই। এছাড়াও মাড়ির ইনফেকশন জনিত সমস্যা দূর করে তুলসী পাতা। সমস্যা দূর করতে শুধুমাত্র তুলসী পাতা চিবিয়ে রস শুষে নিন।

৪) জ্বর নিরাময়ে
১ মুঠো তুলসী পাতা ২ কাপ পানিতে ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে চায়ের মতো পান করলে নানা ধরণের জ্বর যেমন ম্যালেরিয়াডেঙ্গু ইত্যাদি থেকে রক্ষা পেতে পারেন। এছাড়াও সাধারণ ঠাণ্ডা জ্বর হলে তুলসী পাতার চা তা দ্রুত নিরাময়ে সহায়তা করে।

৫) কিডনির সমস্যা দূরে রাখে
তুলসী পাতার রস দেহ থেকে ক্ষতিকর টক্সিন দূর করার ক্ষমতা রাখে। নিয়মিত তুলসী পাতার রস পান করলে কিডনির সমস্যাকিডনি ড্যামেজ এমনকি কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কমে যায়।

৬) কানের ইনফেকশন দূর করে
অনেক সময় কানের বিভিন্ন কারণে কানের ইনফেকশনের সমস্যা দেখা দেয়। যদি প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিত্সা করতে চান তাহলে কানে কয়েক ফোঁটা তুলসী পাতার রস ফেলে দিন। তুলসী পাতার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটোরি উপাদান কানের ইনফেকশন ও প্রদাহ দূর করবে




জন্মান্তরবাদ, পূনর্জন্ম, বিবর্তনবাদ সম্বন্ধে এই গুরুত্বপূর্ণ পোষ্টটি পড়ুন, এটি আপনার মনের হাজারো প্রশ্নের সঠিক জবাব দেবে



ডোমজুড় শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে অক্ষয় তৃতীয়া (চন্দনযাত্রা মহোত্সব)২০১৬


ভক্তিযোগে ভগবানের শ্রীপাদপদ্মে সেবাকার্য সম্পাদন করার অনুকূলে ছটি নিয়ম বা বিধি বর্তমান আছে ।যথা , সেবাকার্যে উত্‍সাহ দৃঢ় বিশ্বাস বা সংকল্প , ধৈর্য ধারণ , নববিধা ভক্তির বিধি অনুসারে সেবাকার্য সম্পাদন , আসক্তি ও অসত্‍সঙ্গ ত্যাগ , পূর্বতন আচার্যবর্গের পদাঙ্ক অনুসরণ ।। এই ছয়টি বিধি অনুসারে পারমার্থিক জীবন যাপন করলে ভক্তিযোগে অবশ্যই সিদ্ধিলাভ হবে ।।




ডোমজুড় শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে অক্ষয় তৃতীয়া মজ্ঞলারতি ২০১


আজ শুভ অক্ষয় তৃতীয়া তিথি।আজকের দিনটি ব্যবসা আরম্ভের পক্ষেও প্রশস্ত। এতদ্ব্যতীত আরও উল্ল্যেখযোগ্য গুরুত্ব রয়েছে এই তিথির। আজকের দিনকে ফুল দোল বা চন্দন যাত্রা বলে অভিহিত করা হয়। আজকের এই পুণ্য তিথিতে বিষ্ণূর ষষ্ঠ অবতার শ্রী পরশুরামের আবির্ভব হয়। তিনি পৃথিবীর সাতজন অমরদের মধ্যে একজন।আজকের তিথিতেই ত্রেতা যুগের প্রারম্ভ।মন্দাকিনী গঙ্গা এই পুণ্য তিথিতে মর্ত্যে অবতরিত হন।
ব্যাসদেব ও গণেশজী দ্বারা 'পঞ্চম বেদ' রচনার শুভারম্ভ এই তিথিতে।
শিবপুরান অনুসারে, আজকের তিথিতে কুবের দেব মা লক্ষ্মীর থেকে সম্পদ প্রাপ্ত হন। আজ তাই বিষ্ণুসহ 'বৈভব লক্ষ্মীদেবী'র পূজাও অনুষ্ঠিত হয়।
অক্ষয় তৃতীয়া তিথিতে মা অন্নপূর্ণা'র আবির্ভাব হয়।
আজকের তিথিতেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দ্রৌপদীকে বস্রহরনের সময় বস্ররূপ কৃপা প্রদান করেন।
মহারাজ যুধিষ্ঠীর আজকের তিথিতে 'অক্ষয় পাত্র' লাভ করেন।
আর আজকের তিথিতেই সখা সুদামা তাঁর প্রাণপ্রিয় সখা শ্রীকৃষ্ণের সাক্ষাত লাভ করেন দ্বারকায়।
আজকের তিথি জৈন ধর্মাবলম্বীদেরও বিশেষ পালনীয় তিথি। আজকের তিথি'র বিষয়ে আরও তথ্য কারও জ্ঞাত থাকলে অবশ্যই জানতে অনুরোধ রাখছি।

সকলকে 'অক্ষয় তৃতীয়া'র শুভেচ্ছা রইলো। এই শুভদিনে অক্ষয় ভক্তি-নিষ্ঠা-শরণাগতি'র প্রার্থনা জানাই প্রভুর চরণকমলে।











কৃষ্ণ শব্দটির অর্থ কি????????¿



যিনি জীদেরকে মায়ার কবল থেকে আকর্ষণ করে নিজ নিত্যদাস্যে নিয়োগ পূর্বক পরমানন্দ প্রদান করেন, তিনিই কৃষ্ণ


শ্রীকৃষ্ণ কে???????¿

শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন পরমেশ্বর ভগবান, পরমব্রহ্ম। শ্রীকৃষ্ণই সকল সত্তার উত্স শ্রীকৃষ্ণই আদি, মধ্য এবং অন্ত্য শ্রীকৃষ্ণই অজাত, অজন্ম। সর্বকারনের পরম কারণ শ্রীকৃষ্ণ পূর্ণ-পুর্নম


শ্রীকৃষ্ণ এত আকর্ষনীয় কেন?????????

শ্রীকৃষ্ণ সর্ব ঐশ্বর্যে পূর্ণ তাঁর মধ্যে *সকল ঐশ্বর্য *সকল শ্রী * সকল বীর্য *সকল জ্ঞান *সকল যশ *সকল বৈরাগ্য পূর্ণরূপে বিরাজমান
 

শ্রীকৃষ্ণ কোথায় অবস্থান করেন ?!!!!!!!!

চিত্জগতের গোলক বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং বিরাজমান। গোলক বৃন্দাবন বেষ্টনকারী অন্তহীন চিত্জগতের বৈকুন্ঠধামে শ্রীকৃষ্ণ চতুর্ভুজরূপী নারায়ন রূপে বিরাজমান। শ্রীকৃষ্ণ মহাবিষ্ণুরূপে নিজেকে বিস্তার করেন এবং এই সীমাবদ্ধ জড় বিশ্বব্রহ্মান্ড সৃষ্টি করেন।
শ্রীকৃষ্ণ প্রতিটি ব্রহ্মান্ডে গর্ভোদকশায়ী বিষ্ণুরূপে প্রবেশ করেন এবং সেগুলিকে পরিচালনা করেন। শ্রীকৃষ্ণ প্রতিটি জীবসত্তা , জড়বস্তু , সক্রিয় কিংবা নিস্ক্রিয় শরীরে ক্ষীরোদকশায়ী বিষ্ণুরূপে প্রবেশ করেন এবং তাদের প্রতিপালন করেন


শ্রীকৃষ্ণ কেন আবির্ভূত আবির্ভূত হন ?

যখন এবং যেখানে ধর্মীয় অনুশাসনের অধ:পতন ঘটে এবং অধর্মের অভূত্থান ঘটে ঠিক তখনি সাধুদের পরিত্রান করার জন্য এবং দুস্কৃতিকারীদের বিনাশ করার জন্য শ্রীকৃষ্ণ যুগে যুগে অবতীর্ণ হন শ্রীকৃষ্ণ ব্রহ্মার জীবনাবসানের একদিনে একবার বা প্রতি ৮৬০ কোটি বছর পর একবার আবির্ভূত হন 

জগতে সব চেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয়টি কি ?

শ্রীযমরাজ এক সময় মহারাজ যুধিষ্ঠিরকে প্রশ্ন করেছিলেন, "এই সংসারে সব থেকে আশ্চর্যজনক বস্তু কি ?"
তখন মহারাজ যুধিষ্ঠির উত্তর দিয়েছিলেন----
অহনি অহনি ভূতানি গচ্ছন্তি যমালয়ম
শেষাঃ স্থাবরম ইচ্ছন্তি কিম আশ্চর্যম অতঃ পরম ।।
(
মহাভারত বনপর্ব 313/116)
প্রতিদিনিই লক্ষ লক্ষ জীবের মৃত্যু হচ্ছে, কিন্তু তা সত্বেও মূর্খ জীবেরা মনে করছে তারা বেঁচে থাকবে সেইজন্যে অবশম্ভাবী মৃত্যুর জন্য তারা প্রস্তুত হয় না সংসারে এটাই সব চেয়ে আশ্চর্যের বিষয় (হরে কৃষ্ণ )
 
  


কৃষ্ণকৃপাশ্রীমূর্তি শ্রীল অভয়চরনারবৃন্দ ,,,,,,,,,,,,,,,,,,ভক্তিবেদান্ত স্বামী শ্রীল প্রভুপাদ,,,,,,,,,,,,,,,, প্রতিষ্ঠাতা-আচার্য Iskcon (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ




ওঁ বিষ্ণুপাদ পরমহংস পরিব্রাজকাচার্য অষ্টোত্তরশত শ্রী শ্রীমদ্ জয়পতাকা স্বামী গুরুমহারাজের ৬৭তম শুভ ব্যাসপূজা মহোত্সব ১৬ এবং ১৭ই এপ্রিল, ২০১৬










ওঁ বিষ্ণুপাদ পরমহংস পরিব্রাজকাচার্য অষ্টোত্তরশত শ্রী শ্রীমদ্ জয়পতাকা স্বামী গুরুমহারাজের ৬৭তম শুভ ব্যাসপূজা মহোত্সব - ২০১৬ 



হরে কৃষ্ণ ,, আমরা যদি হৃদয়ঙ্গম করতে পারি যে ভগবানই হচ্ছেন আমাদের আদি পরম পিতা তাহলে এটি উপলব্ধি করা মোটেও কঠিন হবে না যে তিনি আমাদের তাঁর কাছে ফিরিয়ে নিতে চান এমনকি তিনি যে আমাদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন আয়োজন করে রেখেছেন সেটি বুঝতে পারাও কঠিন হবে না এই অধঃপতিত কলিযুগে যখন আমাদের পারমার্থিক দৃষ্টির সকল স্বচ্ছতাই হারিয়ে গেছে তখন তাঁর পবিত্র নামই হচ্ছে তাঁর কাছে আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার তাঁর কৃপাময় আয়োজন 
ভগবানের পবিত্র নাম জপ বা কীর্তন করার মাধ্যমে ভগবানের রূপ, ধাম, গুণসমূহ, কার্যকলাপ এবং পার্ষদগণকে হৃদয়ঙ্গম করা যায় পারমার্থিক জ্ঞানে স্থিরতা প্রাপ্ত হয়ে কেউ হৃদয়ঙ্গম করতে পারে যে সমস্তকিছুই হচ্ছে ভগবানের আর তাই সে পূর্ণরূপে তাঁর ভক্তিপূর্ণ সেবায় যুক্ত হয় সেই উপলব্ধিই হচ্ছে সকল যুগের ধর্মের পূর্ণতা


 ডোমজুড় শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে রামনবমী মহোত্সব ২০১৬






































ডোমজুড় শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে ফুলের বাগান 












 




















  ডোমজুড় শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে তুলসী পরিক্রমা

 

  ডোমজুড় শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে ভক্তিবেদান্ত বুক স্টল 




  ডোমজুড় শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে গৌরপূর্ণিমা মহোত্সব - ২০১৬ 





 গল্পে উপদেশ ~ সবই কৃষ্ণের ইচ্ছা 

মাঝরাতে এক চোর চুরি করতে গিয়েছিল লোকের বাড়িতে। যে বাড়িটিতে সে গিয়েছিল তার পাশের বাড়ি থেকে মানুষের গলার স্বর সে শুনতে পেল। তাই একটি ঝোপের ভেতর লুকিয়ে সে শুনছিল কে এত কথা বলছে। আসলে একজন পাঠক শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ করছিলেন। পাঠক পড়ছিলেন-‘শ্রীকৃষ্ণের অনুমোদন ছাড়া আমাদের নিজের ইচ্ছায় আমরা কিছুই করতে পারি না।
কথা শুনে চোর চিন্তা করল, ‘তবে আমার চুরি করাটা তো কৃষ্ণের ইচ্ছা। এই ভেবে সে একটা বাড়ির ভেতরে কোনভাবে ঢুকছে। সে দেখল একজন মাথার কাছে রেডি রেখে ঘুমিয়েছে। সেই রেডিওটা যেই তুলতে গেল, অমনি একেবারে হাতেনাতে ধরা পড়ল। চোর চোর বলে অনেক লোক দৌড়ে এসে চোরটিকে বেদম ধোলাই দিতে লাগল।
তখন চোর বেচারা কাঁদতে কাঁদতে গড় গড় করে বলতে লাগল, শুনুন-আমি চুরি করিনি, কৃষ্ণই আমাকে দিয়ে চুরি করিয়েছে। আপনাদের ভাগবত পাঠক বলল যে, কৃষ্ণই সব করেন, সব করান, আমাকে মারবেন না। একথা শুনে একজন রসিক লোক সঙ্গে সঙ্গে সেই পাঠককে ডেকে এনে চোরের সামনে নিয়ে এসে চোরকে পুনরায় কথাটি বলতে বলল।চোর তখনধুলোয় গড়াগড়ি দিয়ে হাউমাউ করে ভাগবত পাঠককে বলতে লাগল, আপনি তো বলছিলেন কৃষ্ণের ইচ্ছায় সব হয় নিজের ইচ্ছায় হয় না, তাই আমি কৃষ্ণের ইচ্ছায় চুরি করে কেন শাস্তি পাচ্ছি। পাঠক উত্তরে বললেন-“ভাই ধরা পড়ে শাস্তি পাওয়াটাও তো কৃষ্ণের ইচ্ছায় হল, এবার হিসাবটা মিলিয়ে দেখ।
 


 হিতোপদেশ 
শ্রীকৃষ্ণ জীবদের ক্ষুদ্র স্বাধীনতা দিয়েছেন। কারণ এই স্বাধীনতা ছাড়া ভগবত্শরণাগতির কোন প্রশ্নই উঠেনা। তাই শ্রীকৃষ্ণ যদি আমাদের ক্ষুদ্র স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেন, তাহলে আমরা যন্ত্রের মতো আচরণ করব। যন্ত্রের পক্ষে শরণাগতি অসম্ভব। স্বাধীন ইচ্ছা শরণাগতির পূর্ব শর্ত। স্বাধীনতায় থাকলে তার অপব্যবহার করার অধিকার আমাদের থাকে। চোর যখন তোর স্বাধীনতা অপব্যবহার করে তখন সেজন্য চোরই দায়ী, শ্রীকৃষ্ণ নন